রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে আপনাকে জানব। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ রক্তশূন্যতায় ভোগে। রক্তশূন্যতা হলো রক্তের এমন একটি রোগ যেখানে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম থাকে বা রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। রক্তশূন্যতা হলে মানুষের শরীর ধীরে ধীরে দূর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে, অল্প পরিশ্রমে শরীর হাপিয়ে যায়, হৃদপিন্ডের উপর চাপ বাড়ে এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।

রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়

যেহেতু রক্তশূন্যতার কারণে শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দেয় তাই আমরা আপনাকে রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানাবো। আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিই কি খাবার খেলে, কি ওষুধ খেলে বা কি কি বিষয়ে অবলম্বন করলে রক্তশূন্যতা দূর হবে।

সূচিপত্র: রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিই

রক্তশূন্যতা কেন হয়

রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের অভাব থাকলে রক্তশূন্যতা হয়। রক্তশূন্যতাকে অ্যানিমিয়া বলে। রক্তশূন্যতা হলে শরীরের কোষ গুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। রক্ত শূন্যতার সাধারণ কারণ হলো রক্তক্ষরণ কিন্তু এটি স্থায়ী উপসর্গ সৃষ্টি করে না যদি না তুলনামূলকভাবে ভাবে ত্রুটিপূর্ণ লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে বিকাশ ঘটে, যা আয়রনের ঘাটতির কারণে হয়। এছাড়া লোহিত রক্তকণিকা ভেঙ্গে গেলেও রক্তশূন্যতা হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন কিডনি বা লিভার বিকল, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, আর্থাইটিস, ক্যান্সার, যক্ষসহ অনেক সমস্যার কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। আবার হিমোগ্লোবিনের নিজস্ব রোগ যেমন থ্যালাসেমিয়া সহ নানা রোগের কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে। আয়রন ঘাটতির কারণে সারা বিশ্বে রক্তশূন্যতা সবচেয়ে বেশি। এর কারণ হলো অপুষ্টি, পেকটিক আলসার, বেদনানাশক ঔষধ, কৃমির সংক্রমণ ইত্যাদি।

রক্তশূন্যতা হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়

বাংলাদেশে রক্তশূন্যতা রক্তের সবচেয়ে সাধারণ রোগ, যা অধিকাংশ মানুষের হয়ে থাকে। রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হলে একজন ব্যক্তির প্রথমে তেমন কোন লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে কারন অ্যানিমিয়া প্রাথমিকভাবে অল্প লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং তারপরে অ্যানিমিয়া আরো খারাপ হওয়ার সাথে সাথে লক্ষণগুলি আরো খারাপ হয়ে ওঠে। রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগী ক্লান্ত, দুর্বল হয়ে এবং  কোনো কাজে মনোনিবেশ করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে। আবার কখনো কখনো অল্প পরিশ্রমে শ্বাষকষ্ট অনুভব করে থাকে।

রক্তশূন্যতা হলে চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়, ঘন ঘন হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়, মাথা ব্যাথা, শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়, চোখে ঝাপসা দেখা দেয়, মুখে ঠোঁটে ঘা ইত্যাদি। রক্তশূন্যতার মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট. বুকে চাপ লেগে  থাকে এবং মারা যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। যেহেতু আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা হয় আবার আয়রনের অভাবে চুলও পড়ে যায় তাই অতিরিক্ত চুল পড়াও রক্তশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: কালোজিরা খাওয়ার ম্যাজিকাল উপকারিতা জানুন

শিশুদের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়

রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া শিশুদের একটি সাধারণ রোগ। রক্তশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো শরীরে সঠিক পরিমাণে আয়রন না থাকা। জন্মের পর তিন মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর শরীরে যেটুকু হিমোগ্লোবিন থাকে তা সে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসে। এরপর তার নিজের শরীরের অস্থিমজ্জায় রক্ত তৈরি হতে শুরু করে। আইরন বা লোহকে রক্ত তৈরীর একটি কাঁচামাল বলা হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুর খাবারের চাহিদা বাড়ে তাই শিশুকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে না হলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। শিশুদের খাদ্য তালিকায় ডিম, মাছ, মাংস, কলিজার মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। 

রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়

যেসব শিশু খাবারের চেয়ে দুধ বেশি পান করে তাদের আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দুধের পাশাপাশি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। যেমন ডিমের কুসুম আয়রন সমৃদ্ধ খাবার । শিশুর বয়স ৬ মাস বয়স হলেই শিশুকে অল্প অল্প করে ডিমের কুসুম খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। আয়রনের অভাবজনিত কারণে রক্তশূন্যতায় শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বিলম্বের কারণ হতে পারে। তাই শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধের জন্য আপনি শিশুর প্রতিদিনের খাবারে লৌহ, আমিষ, ভিটামিন সি ,  ফলিক এসিড ও ভিটামিন- ১২ রাখবেন। উপরোক্ত বিষয়গুলো অবলম্বন করলে শিশুর রক্তশূন্যতা কমে আসবে।

গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়

গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের এখন জানাবো। গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হওয়ার কারণ হলো শরীরে লৌহ বা আয়রনের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া ও পুষ্টিহীনতায় ভোগা। চাহিদা অনুযায়ী আয়রন পূরণ না হলে এ সময় রক্তশূন্যতা হয়। গর্ভধারণের প্রথম থেকে যথেষ্ট আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান যেমন কচু শাক, কাঁচা কলা, পেয়ারা, সিম, মটর, ডাল, বাঁধাকপি, কলিজা, গোশত, খোলস সহ মাছ যেমন চিংড়ি মাছ। তাহলে আপনার শরীরের আয়রনের চাহিদা অনেকটাই কমে আসবে। 

গর্ভাবস্থায় সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। গর্ভবতী নারী আগের চেয়ে পরিমাণে একটু বেশি খাবেন। গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হলে শিশুর বিকাশে ব্যাঘাত করতে পারে। তাই আগে থেকেই কোন সমস্যা আছে কিনা দেখা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথম তিন মাসের পর থেকে নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। উপরোক্ত বিষয়গুলোতে সচেতন হলে রক্তশূন্যতা জনিত শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেকটাই কমে আসবে।

রক্তশূন্যতা দূর করতে যেসব খাবার খাওয়া উচিত

রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো আয়রন, ভিটামিন বি-১২, ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও ডালিম, আপেল, লাল আঙ্গুর, ব্রকলি, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, গোলমরিচ ইত্যাদি খাবার খাওয়া উচিত। পালং শাক, কচু শাক, কচুর লতি, লেটুস, ধনিয়া পাতা, পুদিনা পাতা ইত্যাদি শাক-সবজি খেলে রক্তশূন্যতা সহজে কমবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মসুর ডাল, ব্রাউন  রাইস, মুগ ডাল, মুরগির মাংস, খাসির মাংস খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।

রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়

পৃথিবীর যত শাকসবজি আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয়রন রয়েছে কচুশাকে অর্থাৎ এটি দ্রুত সময়ে আপনার শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে পারবে এবং আপনার শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করবে।  শুধু তাই নয় এটা আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মাত্রা অনেক বাড়াতে পারে ফলে আপনার শরীরের হাড়গুলো অনেক মজবুত হবে এবং আপনার স্মৃতি শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। উপরে যতগুলো খাবারের কথা বললাম সেগুলো আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখবেন তাহলে আপনার রক্তশূন্যতা দূর হবে।

রক্তশূন্যতা কোন ভিটামিনের অভাবে হয়

রক্তশূন্যতা শুধু আয়রনের কারণে হয় না। বরং শরীরের ভিটামিনের অভাবের কারণে হয়ে থাকে। ভিটামিন শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে সাহায্য করে। এটি দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে, খাদ্যপ্রাণ হিসেবে কাজ করে, রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রোগ বা সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের শরীরে ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম।

ভিটামিন বি-১২ ও ফলিক এসিডের কারণেও রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে। খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ ও ফলিক এসিড না থাকলে মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হতে পারে। ডিম, দুধ গরু ও খাসির মাংস, সামুুুদ্রিক মাছ ইত্যাতিতে ভিটামি বি-১২ বেশি পাওয়া যায়। আর সিম, বিট, সবুজ শাক-সবজি, ব্রকলি, বাদাম ও গরু-খাসির কলিজা ইত্যাতিতে ফলিক এসিড বেশি পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল জাতীয় এসিডিটির ওষুধ খেলেও মেগালোপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হতে পারে। তাই এসব ওষুধ নিয়মিত সেবন করা বন্ধ করতে হবে।

রক্তশূন্যতা দূর করার ঔষধ

রক্তশূন্যতা দূর করতে যেমন বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন তেমনি যদি রক্তশূন্যতা বেশি হয় তাহলে তার পাশাপাশি কিছু ওষুধ খাওয়াও প্রয়োজন। তেমন একটি ওষুধ হল আয়রন সাপ্লিমেন্ট। সাধারণত আয়রন সাপ্লিমেন্ট এর মধ্যে রয়েছে লৌহগঠিত সালফেট, লৌহগঠিত গলুকোনেট এবং লৌহাঘটিত ফিউমারেট। এগুলো আবার বিভিন্ন ফর্মুলেশনে পাওয়া যায় যেমন ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, বা তরল।

ভিটামিন বি-১২ হলো লোহিত রক্তকণিকা গঠনের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি এবং এর ঘাটতি হলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। ভিটামিন বি-১২  সম্পূরক গুলি ট্যাবলেট গুলো ক্যাপসুল এবং ইনজেকশন সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। যাদের রক্তশূন্যতা বা শোষণের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ইনজেকশন গুলি প্রায়ই পছন্দের পদ্ধতি কারণ তারা পাচনতন্ত্রকে বাইপাস করে এবং সরাসরি রক্ত প্রবাহে প্রবেশের অনুমতি দেয়।

শরীরে রক্ত তৈরি না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে  জানার পাশাপাশি শরীরে রক্ত তৈরি না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। রক্ত তৈরি না হওয়ার সমস্যাকে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া বলে। শরীরে রক্ত তৈরি না হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে যেমন আয়রনের ঘাটতি, ভিটামিন বি -১২ এর অভাব, ফোলেটের অভাব, রক্তপাত হওয়া, অস্থিমজ্জার রোগ, থ্যালাসেমিয়া, ব্লাড ক্যান্সার, অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া ইত্যাদি।

তাই সে সব খাবার খেতে হবে যেগুলো খেলে শরীরে রক্ত বাড়ে। রক্ত বাড়বে এমন খাবার হলো লাল মাংস, হাঁস-মুরগি, সামুদ্রিক মাছ যা থেকে আপনারা পাবেন পর্যাপ্ত আয়রন ও খনিজ পুষ্টি। আবার খেজুর খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বাড়ে তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়া উচিৎ। 

কি খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়

আমাদের সকলের উচিৎ রক্তকে সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্ত রাখা। তাই কি উপায়ে বা কি খেলে রক্ত পরিষ্কা হবে তা আপনাকে জানাবো। আমলকিকে এন্টিঅক্সিডেন্টের রাজা বলা হয়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও ক্রোমিয়াম যা রক্ত পরিষ্কার করতে খুব ভালো কাজ করে। আবার লেবু পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও তামা। এগুলো খাবার থেকে আইরন ও ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। এটি মূত্রবর্ধক ও শরীরে টক্সিন বের করে দেয়। 

আমরা দেশে শীতের সময় গাজর হয় তখন আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু গাজর যে একটি ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল এটা সম্পর্কে জানবো। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, বি এবং প্রচুর পটাশিয়াম। এগুলো উপাদান শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। আবার আপনারা জানেন তুলসী পাতা কাশি দূর করতে সাহায্য করে কিন্তু তুলসী পাতার আরো অনেক এন্টিবায়োটিক গুনাগুন রয়েছে। এই এন্টিবায়োটিক গুনাগুনের ফলে তুলসী পাতা রক্ত পরিশুদ্ধ করতে খুব সাহায্য করে।

পরিশেষে

বর্তমানে বাংলাদেশে রক্তশূন্যতায় অনেক মানুষ ভুগছে। তাই আমাদের উচিৎ খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে যাতে শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্করাও সেগুলো খেয়ে পুষ্টি পায়। আয়রন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরে জন্য খুবই উপকারী। তাই যেসব খাবারে আয়রন ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে সেগুলো নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। রক্তশূন্যতা লক্ষণ যদি বেশি মাত্রায় বেড়ে যায় তাহলে আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url